*"মিষ্টি বাচ্চারা -
এটা হল তোমাদের অন্তিম জন্ম, এইজন্য বিকার রূপী
অবগুণের পরিত্যাগ করে, এই অন্তিম জন্মে রাবণের শৃঙ্খল থেকে নিজেদের মুক্ত
করো"*
প্রশ্ন:-
কোন্ বাচ্চারা বাবার আশ্রয়ে লালিত পালিত হয় ? বাবা কোন্ বাচ্চাদের সাথে সর্বদা খুশী থাকেন ?*
উত্তর:-
বাবার আশ্রয় তারা লাভ করে , যারা সাফ হৃদয়ের হয় । বলা হয় , স্বচ্ছ হৃদয়াসনে সাহেব বিরাজিত হন । যারা বাবার প্রতিটি
নির্দেশকে পালন করে, , তাদের প্রতি বাবা অনেক খুশী থাকেন । বাবার নির্দেশ হল
স্মরণে থেকে পবিত্র হয়ে সার্ভিস করো, সবাইকে পথ দেখাও
। শুদ্রদের সঙ্গ থেকে নিজেদের সামলে রেখো । কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কখনও কোনও খারাপ
কাজ কোরো না । যারা এইসব কথা ধারণ করে, তাদের প্রতি বাবা
খুব খুশী থাকেন* ।
গীত:-
আমায় আশ্রয় দেন যিনি ...
*ওম্ শান্তি* ।
বাচ্চারা এখানে জ্ঞান শুনছে । কিসের জ্ঞান? শাস্ত্রের ? না । বাচ্চারা
জানে যে শাস্ত্রের জ্ঞান তো সব মানূষই শুনে থাকে । এখানে আমাদের পরমপিতা পরমাত্মা
জ্ঞান দিয়ে থাকেন । কোনো শাস্ত্র ইত্যাদি পড়লে বা অধ্যয়ন করলে , তাদের সন্ন্যাসী বলা যাবে না । তারা কোনো জ্ঞান শোনায় না ।
কোনোও সত্সঙ্গে গেলে তো মানুষ থাকবেই । এখানে বাচ্চারা জানে যে আমাদের কোনো মানুষ
জ্ঞান দান করে না, স্বয়ং পরমপিতা পরমাত্মা মানুষের দ্বারা জ্ঞান প্রদান
করেন । এইসব কথা কোনও সত্সঙ্গ ইত্যাদিতে শোনানো হয় না । যারা ভাষণ করে, তাদের বুদ্ধিতে এইসব কথা স্থির থাকে না । আমাদের যিনি জ্ঞান
প্রদান করেন, তিনি কোনও মানুষ অথবা দেবতা নন । যদিও এই সময়
দেবীদেবতা ধর্ম হয় না, তবুও ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্কর, যাঁরা সূক্ষ্ম বতন বাসী, তাদের নামও গায়ন
করা হয় । লক্ষ্মী নারায়ণ ইত্যাদি সবাই হল দৈবী গুণধারী মানুষ । এসময়ে সবাই হল
আসুরী গুণধারী । কোনো মানুষ বুঝতে চায় না যে আমরা হলাম আত্মা । অমুক দ্বারা
পরমাত্মা আমাদের জ্ঞান দিচ্ছেন । তারা তো বোঝে অমুক মহাত্মা, অমুক শাস্ত্রী আমাদের কাহিনী শোনাচ্ছে । বেদ শাস্ত্র, গীতা ইত্যাদি পাঠ করে শোনাচ্ছেন । বাবা বলেন আমি তোমাদের
এরকম শাস্ত্রের কথা শোনাই না । তোমরা তো নিজেদের আত্মা নিশ্চয় করেছো, আবার বলছ পতিতপাবন এসো । যিনি সবার দুঃখ হর্তা, সুখ কর্তা আবার তিনিই হলেন সবার শান্তি দাতা, আর সকলের জীবন মুক্তি দাতা । তিনি তো কোনোও মানুষ হতে পারেন
না । মানুষ প্রাতেঃ উঠে কত ভক্তি করে । অনেকে ভজনও করে, অনেকে আবার পূজোপাঠও করে, এইসবকে বলা হয়
ভক্তি মার্গ । ভক্তি মার্গের মানুষেরা জানে না যে ভক্তি মার্গ কি ? এখানে সব স্থানে ভক্তি আর ভক্তিই হচ্ছে । জ্ঞান হল দিন আর
ভক্তি হল রাত । যখন জ্ঞান হয়, তখন ভক্তি থাকে
না । আর যখন ভক্তি থাকে, তখন জ্ঞান হয় না । দ্বাপর কলিযুগ হল ভক্তি, সত্যযুগ ত্রেতা হল জ্ঞানের ফল । জ্ঞানের সাগর যিনি, তিনিই এসে ফল প্রদান করেন । কিন্তু ভগবান কি ফল দেন ? ফলের অর্থ অধিকার । ভগবান মুক্তির অধিকার দেন আর সাথে করে
মুক্তিধামে ফেরত নিয়ে যান । এই সময় অত্যাধিক মানুষ হওয়ার জন্য থাকার স্থানের অভাব, আনাজের অভাব, এই কারণে ভগবানকে
আসতে হয় । রাবণ সবাইকে পতিত তৈরী করে আর পতিতপাবন শিববাবা এসে পবিত্র বানান ।
পবিত্র বানান যিনি আর পতিতে পরিণত করেন যিনি, দুজনেই কিন্তু
আলাদা আলাদা হয় । এখন তোমরা জেনে গেছ যে পাবন দুনিয়াকে পতিতে পরিণত কে করে আর পতিত
দুনিয়াকে পবিত্র বানান কে ? বলা হয় পতিতপাবন এসো। কিন্তু একজনকেই ডাকা হয় । সকলের
পালন কর্তা হলেন একজনই । সত্যযুগে কোনো বিকারী থাকতে পারে না । পতিত অর্থাৎ যারা
বিকারে যায় । সন্ন্যাসীরা বিকারে যায় না, সেক্ষেত্রে তাদের
পতিত বলা যাবে না । বলা হয় পবিত্র আত্মা, পাঁচ বিকারের
সন্ন্যাস করেছেন যারা। নম্বর ওয়ান বিকার হল কাম । ক্রোধ তো সন্ন্যাসীদেরও অনেক
থাকে । স্ত্রীকে ত্যাগ করে, তারা মনে করে সঙ্গে থাকলে নাকি নির্বিকারী হওয়া যায়
না । বিবাহের অর্থই হল এই । সত্যযুগে এসব নিয়ম থাকে না । বাবা বোঝান বাচ্চারা
সেখানে কেউই পতিত হয় না । দেবতাদের মহিমা হল সর্বগুণসম্পন্ন, সম্পূর্ণ নির্বিকারী । রাবণ রাজত্ব তো দ্বাপর যুগ থেকে শুরু
হয়েছে । বাবা নিজে বলেন কাম থেকে বিজয়ী হও । তোমরা বাচ্চারা আমাকে (শিববাবাকে) আর
পবিত্র দুনিয়াকে স্মরণ করো, তাহলে আর তোমরা পতিত হবে না । আমি (শিববাবা) পবিত্র
দুনিয়ার স্থাপন করতে এসেছি আর দ্বিতীয় কথা একজন পিতার সন্তানেরা ব্রাহ্মণ
ব্রাহ্মণীরা তোমরা নিজেদের মধ্যে হলে ভাই - বোন । এই কথাটা ভালো করে বুদ্ধিতে
স্থির না হওয়া পর্যন্ত কেউই বিকার রূপী অবগুণের হাত থেকে মুক্ত হতে পারবে না ।
ব্রহ্মার সন্তান না হওয়া পর্যন্ত পবিত্র হওয়া খুবই মুশকিল ব্যাপার । বাবার
সাহায্যও প্রাপ্ত হবে না । আচ্ছা! ব্রহ্মার কথা ছাড়ো । তোমরা তো বলো আমরা ভগবানের
সন্তান, সাকারেও বলো যে সেই হিসেবে আমরা সবাই ভাই -বোন হয়েছি, তাহলে তো বিকারে যাওয়া যায় না । এরা সবাই তো বলবে আমরা হলাম
ঈশ্বরীয় সন্তান আর বাবা বলেন বাচ্চারা আমি এসে গেছি । এবার যারা আমার (শিববাবার)
সন্তান হয়েছ, তারা নিজেদের মধ্যে ভাইবোন হয়ে গেলে । ব্রহ্মার
দ্বারা ভাইবোনের রচনা হয় , সেইকারণে বিকারের পথে যেতে পারবে না ।
বাবা বলেন এটা হল তোমাদের অন্তিম জন্ম । এক জন্মের জন্য এইসব বিকার ত্যাগ করো! সন্ন্যাসীরা জঙ্গলে যাওয়ার জন্য গৃহত্যাগ করে আর তোমরা ত্যাগ করো পবিত্র দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য । সন্ন্যাসীদের কোনো টেম্পটেশন (লোভ) হয় না । সেই কারণে গৃহস্থীরা তাদের অনেক মানসম্মান দিয়ে থাকে, কিন্তু তারা কেউই মন্দিরে পুজ্য হওয়ার যোগ্য হতে পারেন না । মন্দিরে পুজন যোগ্য দেবতারাই হয়, কারণ তাদের আত্মা আর শরীর দুই - ই পবিত্র হয় । এখানে আমাদের পবিত্র শরীর পাওয়া মুশকিল । এটা তো তমোপ্রধান পতিত শরীর আর পাঁচ তত্ত্বও পতিত হয় । সেখানে (সত্যযুগে ) আত্মাও পবিত্র থাকে আর পাঁচ তত্ত্বও সতোপ্রধান পবিত্র হয় । এখন আত্মাও তমোপ্রধান তাই তত্ত্বও তমোপ্রধান। যে কারণে বন্যা, তুফান ইত্যাদি অধিক মাত্রায় হচ্ছে । কাউকে দুঃখ দেওয়া - এসব হল তমোগুণ । সত্যযুগে তত্ত্বও কাউকে দুঃখ দেওয়ার কারণ হয় না । এই সময়ে মানুষের বুদ্ধিও তমোপ্রধান । সতো, রজো, তমোতে নিশ্চয়ই আসতে হবে, নইলে দুনিয়া পুরানো কিভাবে হবে আর নতুন দুনিয়া যিনি বানান, তিনি কীভাবে আসবেন ! বাবা বলছেন বাচ্চারা এবার পবিত্র হও । এই অন্তিম জন্মে রাবণের শৃঙ্খল থেকে নিজেদের মুক্ত করো । আসুরী মতে অর্দ্ধকল্প তোমরা পতিত ছিলে, এসব হল খুবই খারাপ অভ্যাস । সবচেয়ে বড় শত্রু হল কাম । অনেক বাচ্চারাই ছোট বয়সেই বিকারে চলে যায়, কারণ সঙ্গই সেরকম পায় । সময়ই যে এই রকম, যখন সবাইকে পতিত হতেই হবে । সন্ন্যাস ধর্মেরও পার্ট আছে । সৃষ্টিকে সম্পূর্ণ রসাতলে যাওয়ার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা করে । এবার ড্রামাকে তো তোমরা বাচ্চারাও জানো । যদিও বলা হয় ক্রিশ্চান ধর্মের এতো বছর হয়েছে কিন্তু তারপরও তারা জানে না এই ধর্ম (ক্রিশ্চান ) কবে শেষ হবে? বলা হয় কলিযুগ নাকি চল্লিশ হাজার বছর পর্যন্ত চলবে , তাহলে তো ক্রিশ্চান ইত্যাদি ধর্ম চল্লিশ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকবে! এবার যেখানে পাঁচ হাজার বছরেই জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না , তারপর চল্লিশ হাজার বছর হলে যে কি অবস্থা হতো কে জানে! শাস্ত্রে তো অনেক গালগল্প লেখা হয়েছে, যে কারণে কম জনই এসব কথা বিশ্বাস করে, কদম - কদম শ্রীমতে চলে । শ্রীমতে চলা কতটা মুশকিল ! লক্ষ্মী নারায়ণ, যাদের সমগ্র দুনিয়া পূজো করে -- এখন তোমরা সেই লক্ষ্মী - নারায়ণ হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছ । তোমরা এটাও জান যে সবকিছুই হবে নম্বরের ভিত্তিতে । এবার বাবা বলছেন আমাকে আর ঘরকে (পরমধামকে) স্মরণ করো । ঘর তো শীঘ্রই স্মরণে আসে , তাইনা! মানুষ আট দশ বছর পর্যটন করে যখন ঘরে ফেরে , তখন খুশী হয় যে আমরা এবার আমাদের জন্মভূমিতে ফিরছি যাচ্ছি । সেই পর্যটন হয় অল্প সময়ের জন্য, এইজন্য ঘরকে কেউ ভোলে না । এখানে তো পাঁচ হাজার বছর হয়ে গেছে। তাই ঘরকে একদম ভুলে গেছে ।
এবার বাবা এসে বলছেন যে বাচ্চারা - এ হল পুরানো দুনিয়া আর এই দুনিয়াকে এবার আগুন লাগবে । কেউই থাকবে না, সবাইকেই যেতে হবে । এইজন্য ক্ষয়িত (পচা গলা) দুনিয়া আর ক্ষয়িত শরীরের প্রতি ভালোবাসা রাখার কোনও প্রয়োজন নেই । শরীর বদলাতে বদলাতে পাঁচ হাজার বছর হয়েছে । চুরাশী বার শরীর পরিবর্তন করে এসেছ । এবার বাবা বলছেন, "তোমাদের চুরাশী জন্ম যখন সম্পূর্ণ ( complete ) হয়, তখন আমি ( শিববাবা) আসি । তোমাদের পার্ট কমপ্লিট অর্থাৎ সবার কমপ্লিট । এই জ্ঞান ধারণ করতে হবে" । সমগ্র জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে । বাবার দ্বারা নলেজফুল হওয়ার জন্য সমগ্র বিশ্বের মালিক হবে আর বিশ্বও নতুন হয়ে যায় । ভক্তি মার্গে যেসব কর্মকাণ্ডের ব্যাপার স্যাপার আছে, সে সব কিছুকেই শেষ করতে হবে । তারপর কেউই "হে প্রভু" বলার থাকবে না । হায় রাম, হে প্রভু, এসব অক্ষর বা শব্দ দুঃখেই বের হয় । সত্যযুগে বেরোয় না। কারণ সেখানে কোনও দুঃখের কোনো কিছুই নেই । তাহলে এরকম বাবাকে কেন স্মরণ করা হবে না আর কেনই বা ওঁনার মতে চলা হবে না ? ঈশ্বরীয় মতে সদা সুখী হয়ে যায় । এটা বুঝেও যদি কেউ শ্রীমতে না চলে তাহলে তাদের মহামুর্খ বলা হবে ! ঈশ্বরীয় মত আর আসুরী মত - দুটোতে রাতদিনের ফারাক হয় । এবার বিচার তোমাদের করতে হবে যে , আমরা কোন্ দিকে যাবো! মায়ার দিকে তো শুধু দুঃখই আছে আর ঈশ্বরের দিকে একুশ জন্মের সুখ আছে । তাহলে এবার কার মতে চলা হবে !
বাবা বলেন "শ্রীমতে যদি চলতে চাও তো চলো ! প্রথম কথাটাই হল কামের ওপরে বিজয়ী হতে হবে । তার থেকেও প্রথম কথা হল আমাকে (শিববাবাকে) স্মরণ করো । এই পুরানো শরীর তো ত্যাগ করতে হবে । এবার যে ঘরে (পরমধাম) ফেরার পালা । এসময়ে আমাদের মনে রাখা উচিত যে আমরা চুরাশী জন্মের পুরানো খোলস ত্যাগ করছি" । সত্যযুগে তো বোঝা যায় যে এই বৃদ্ধ বয়সের শরীর ত্যাগ করে আবার শৈশবের শরীর ধারণ করা হবে । পুরানো দুনিয়া এবার মহা বিনাশের মুখে । এইসব কথা কোনো শাস্ত্রে লেখা থাকে না । এইসব কথা বাবা বসে বোঝাচ্ছেন । এইসব কথা মনে থাকলে তো "অহো সৌভাগ্য" ! কত সহজ । তারপরেও যে সুইট হোম আর সুইট রাজধানীকে কেন ভূলে যায়, কে জানে ! স্মরণ করো না কেন? সঙ্গ দোষে এসে নোংরা হয়ে যাচ্ছ । বাবা বলেন "বাচ্চারা নোংরা বিকল্প অনেক আসবে, কিন্তু কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কোনো খারাপ কাজ করবে না । এরকম নয় যে, বিকর্ম করে আবার লিখলে - বাবা ক্ষমা করো, এই বিকর্ম হয়ে গেছে । বিকর্ম যখন করেছ, তখন তো শতগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হতেই হবে । আবার না বললে তার জন্যও দণ্ড পেতে হবে । এই সময়ই বোঝা যায় যে অজামিল কে হয়ে যায় ! যারা ঈশ্বরের কোলে এসে আবার বিকারে যায় , তখন প্রমাণিত হয়ে যায় যে কত বড় অনাবিল, পাপকর্ম - যারা বিকার ছাড়া থাকতে পারে না । বায়োস্কোপ, সিনেমা সবাইকে নোংরা বানানোর নিমিত্ত হয় । যে কোনো প্রকারের বিকার থেকে তোমাদের দূরে থাকা উচিত । ব্রাহ্মণ হল নির্বিকারী, তাই ব্রাহ্মণের সঙ্গই দরকার । শূদ্রের সঙ্গ দুঃখ ছাড়া আর কিছু দিতে পারে না । শরীর নির্বাহের জন্য সবকিছু করতে হবে । কিন্তু কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কোনও বিকর্ম করবে না । হ্যাঁ, বাচ্চাদের শোধরানোর জন্য বোঝাতে হবে আর কোনো না কোনো যুক্তি দিয়ে প্রয়োজনে অল্প স্বল্প শাস্তিও দিতে হবে । রচনা যখন রচিত করা হয়েছে তখন দায়িত্বে তো রয়েছে । তাদেরও সত্যিকারের উপার্জন করাতে হবে । ছোট ছোট বাচ্চাদেরও অল্প বিস্তর শেখানো ভালো । শিববাবাকে স্মরণ করলে, সাহায্য প্রাপ্ত হবেই । "সচ্চে দিল পর সাহেব রাজী" অর্থাৎ সত্য ও স্বচ্ছ হৃদয়াসনে সাহেব বিরাজ করেন । সাফ হৃদয়াধারী বাচ্চাদেরই বাবার আশ্রয় প্রাপ্ত হয় । এখন এই সমগ্র দুনিয়ায় কোথাও কেউ কারো সাহারা নয়। সাহারা দেবার নিমিত্ত সে - ই হতে পারে যে সুখে নিয়ে যেতে পারে। এক পরমাত্মাকেই স্মরণ করা হয় । তিনিই এসে সবাইকে শান্তি প্রদান করেন । সত্যযুগে সবাই সুখী হয় । বাকী সব আত্মারা শান্তিধাম নিবাসী হয় । ভারত স্বর্গ ছিল, সমগ্র বিশ্বের মালিক ছিল । অশান্তি, মারামারি কিছুই ছিল না । সেই নতুন দুনিয়া নিশ্চয়ই বাবা রচনা করেছেন । বাবার কাছ থেকেই অধিকার লাভ হয়েছে হবে! কিন্তু কিভাবে? সেটাই তো কেউ বুঝতে চায় না । ঐ দুনিয়াকে তো রাম রাজ্য বলা হতো । এখন আর নেই । ছিল তো সত্যি, তাইনা! সেই ভারত যখন পূজ্য ছিল, সেই পূজারী হয়েছে আর সেই আবার পূজ্য হবে । এখন তোমরা পুরুষার্থ করছো । শিব ভগবানুবাচ, শ্রীকৃষ্ণের আত্মা অন্তিম জন্মে শুনছে , আবার সেই আত্মা কৃষ্ণ হবে । প্রাতেঃ উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে । সেই সময় খুব ভালো হয় । ভায়ব্রেশনও অনেক শুদ্ধ থাকে । যেমন আত্মা রাতে ক্লান্ত হয় , তখন বলে আমি (আত্মা ) আলাদা (ডিটৈচ) হয়ে যাই । তোমাদেরও এখানে থেকে বুদ্ধিযোগ সেখানে লেগে থাকুক । অমৃতবেলায় উঠে স্মরণ করলে সারাদিন স্মৃতিতে আসতে থাকবে । এটাই হলো কামাই । যত স্মরণ করবে , তত বিকর্মাজীত পরিণত হবে , ধারণা হবে । যারা পবিত্র হয় , তারা স্মরণে থেকে সার্ভিসও করতে পারে । ডাইরেক্শান মেনে চলে তাই বাবাও খুশী থাকেন । প্রথমে সার্ভিস করতে হবে, সবাইকে পথ দেখাতে হবে । যোগের রাস্তা বলার জন্য জ্ঞানও দিতে হবে, তাইনা! যোগে থাকলে বিকর্মের বিনাশ হবে । সাথে সাথে চক্রকেও ঘোরাতে হবে । রূপ -বসন্ত (জ্ঞান+যোগ ) হতে হবে । তারপর সেরকম পয়েন্টসও আসতে থাকবে । আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি (সিকীলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্নেহ পূর্ণ স্মরণ আর সুপ্রভাত । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।
বাবা বলেন এটা হল তোমাদের অন্তিম জন্ম । এক জন্মের জন্য এইসব বিকার ত্যাগ করো! সন্ন্যাসীরা জঙ্গলে যাওয়ার জন্য গৃহত্যাগ করে আর তোমরা ত্যাগ করো পবিত্র দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য । সন্ন্যাসীদের কোনো টেম্পটেশন (লোভ) হয় না । সেই কারণে গৃহস্থীরা তাদের অনেক মানসম্মান দিয়ে থাকে, কিন্তু তারা কেউই মন্দিরে পুজ্য হওয়ার যোগ্য হতে পারেন না । মন্দিরে পুজন যোগ্য দেবতারাই হয়, কারণ তাদের আত্মা আর শরীর দুই - ই পবিত্র হয় । এখানে আমাদের পবিত্র শরীর পাওয়া মুশকিল । এটা তো তমোপ্রধান পতিত শরীর আর পাঁচ তত্ত্বও পতিত হয় । সেখানে (সত্যযুগে ) আত্মাও পবিত্র থাকে আর পাঁচ তত্ত্বও সতোপ্রধান পবিত্র হয় । এখন আত্মাও তমোপ্রধান তাই তত্ত্বও তমোপ্রধান। যে কারণে বন্যা, তুফান ইত্যাদি অধিক মাত্রায় হচ্ছে । কাউকে দুঃখ দেওয়া - এসব হল তমোগুণ । সত্যযুগে তত্ত্বও কাউকে দুঃখ দেওয়ার কারণ হয় না । এই সময়ে মানুষের বুদ্ধিও তমোপ্রধান । সতো, রজো, তমোতে নিশ্চয়ই আসতে হবে, নইলে দুনিয়া পুরানো কিভাবে হবে আর নতুন দুনিয়া যিনি বানান, তিনি কীভাবে আসবেন ! বাবা বলছেন বাচ্চারা এবার পবিত্র হও । এই অন্তিম জন্মে রাবণের শৃঙ্খল থেকে নিজেদের মুক্ত করো । আসুরী মতে অর্দ্ধকল্প তোমরা পতিত ছিলে, এসব হল খুবই খারাপ অভ্যাস । সবচেয়ে বড় শত্রু হল কাম । অনেক বাচ্চারাই ছোট বয়সেই বিকারে চলে যায়, কারণ সঙ্গই সেরকম পায় । সময়ই যে এই রকম, যখন সবাইকে পতিত হতেই হবে । সন্ন্যাস ধর্মেরও পার্ট আছে । সৃষ্টিকে সম্পূর্ণ রসাতলে যাওয়ার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা করে । এবার ড্রামাকে তো তোমরা বাচ্চারাও জানো । যদিও বলা হয় ক্রিশ্চান ধর্মের এতো বছর হয়েছে কিন্তু তারপরও তারা জানে না এই ধর্ম (ক্রিশ্চান ) কবে শেষ হবে? বলা হয় কলিযুগ নাকি চল্লিশ হাজার বছর পর্যন্ত চলবে , তাহলে তো ক্রিশ্চান ইত্যাদি ধর্ম চল্লিশ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকবে! এবার যেখানে পাঁচ হাজার বছরেই জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না , তারপর চল্লিশ হাজার বছর হলে যে কি অবস্থা হতো কে জানে! শাস্ত্রে তো অনেক গালগল্প লেখা হয়েছে, যে কারণে কম জনই এসব কথা বিশ্বাস করে, কদম - কদম শ্রীমতে চলে । শ্রীমতে চলা কতটা মুশকিল ! লক্ষ্মী নারায়ণ, যাদের সমগ্র দুনিয়া পূজো করে -- এখন তোমরা সেই লক্ষ্মী - নারায়ণ হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছ । তোমরা এটাও জান যে সবকিছুই হবে নম্বরের ভিত্তিতে । এবার বাবা বলছেন আমাকে আর ঘরকে (পরমধামকে) স্মরণ করো । ঘর তো শীঘ্রই স্মরণে আসে , তাইনা! মানুষ আট দশ বছর পর্যটন করে যখন ঘরে ফেরে , তখন খুশী হয় যে আমরা এবার আমাদের জন্মভূমিতে ফিরছি যাচ্ছি । সেই পর্যটন হয় অল্প সময়ের জন্য, এইজন্য ঘরকে কেউ ভোলে না । এখানে তো পাঁচ হাজার বছর হয়ে গেছে। তাই ঘরকে একদম ভুলে গেছে ।
এবার বাবা এসে বলছেন যে বাচ্চারা - এ হল পুরানো দুনিয়া আর এই দুনিয়াকে এবার আগুন লাগবে । কেউই থাকবে না, সবাইকেই যেতে হবে । এইজন্য ক্ষয়িত (পচা গলা) দুনিয়া আর ক্ষয়িত শরীরের প্রতি ভালোবাসা রাখার কোনও প্রয়োজন নেই । শরীর বদলাতে বদলাতে পাঁচ হাজার বছর হয়েছে । চুরাশী বার শরীর পরিবর্তন করে এসেছ । এবার বাবা বলছেন, "তোমাদের চুরাশী জন্ম যখন সম্পূর্ণ ( complete ) হয়, তখন আমি ( শিববাবা) আসি । তোমাদের পার্ট কমপ্লিট অর্থাৎ সবার কমপ্লিট । এই জ্ঞান ধারণ করতে হবে" । সমগ্র জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে । বাবার দ্বারা নলেজফুল হওয়ার জন্য সমগ্র বিশ্বের মালিক হবে আর বিশ্বও নতুন হয়ে যায় । ভক্তি মার্গে যেসব কর্মকাণ্ডের ব্যাপার স্যাপার আছে, সে সব কিছুকেই শেষ করতে হবে । তারপর কেউই "হে প্রভু" বলার থাকবে না । হায় রাম, হে প্রভু, এসব অক্ষর বা শব্দ দুঃখেই বের হয় । সত্যযুগে বেরোয় না। কারণ সেখানে কোনও দুঃখের কোনো কিছুই নেই । তাহলে এরকম বাবাকে কেন স্মরণ করা হবে না আর কেনই বা ওঁনার মতে চলা হবে না ? ঈশ্বরীয় মতে সদা সুখী হয়ে যায় । এটা বুঝেও যদি কেউ শ্রীমতে না চলে তাহলে তাদের মহামুর্খ বলা হবে ! ঈশ্বরীয় মত আর আসুরী মত - দুটোতে রাতদিনের ফারাক হয় । এবার বিচার তোমাদের করতে হবে যে , আমরা কোন্ দিকে যাবো! মায়ার দিকে তো শুধু দুঃখই আছে আর ঈশ্বরের দিকে একুশ জন্মের সুখ আছে । তাহলে এবার কার মতে চলা হবে !
বাবা বলেন "শ্রীমতে যদি চলতে চাও তো চলো ! প্রথম কথাটাই হল কামের ওপরে বিজয়ী হতে হবে । তার থেকেও প্রথম কথা হল আমাকে (শিববাবাকে) স্মরণ করো । এই পুরানো শরীর তো ত্যাগ করতে হবে । এবার যে ঘরে (পরমধাম) ফেরার পালা । এসময়ে আমাদের মনে রাখা উচিত যে আমরা চুরাশী জন্মের পুরানো খোলস ত্যাগ করছি" । সত্যযুগে তো বোঝা যায় যে এই বৃদ্ধ বয়সের শরীর ত্যাগ করে আবার শৈশবের শরীর ধারণ করা হবে । পুরানো দুনিয়া এবার মহা বিনাশের মুখে । এইসব কথা কোনো শাস্ত্রে লেখা থাকে না । এইসব কথা বাবা বসে বোঝাচ্ছেন । এইসব কথা মনে থাকলে তো "অহো সৌভাগ্য" ! কত সহজ । তারপরেও যে সুইট হোম আর সুইট রাজধানীকে কেন ভূলে যায়, কে জানে ! স্মরণ করো না কেন? সঙ্গ দোষে এসে নোংরা হয়ে যাচ্ছ । বাবা বলেন "বাচ্চারা নোংরা বিকল্প অনেক আসবে, কিন্তু কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কোনো খারাপ কাজ করবে না । এরকম নয় যে, বিকর্ম করে আবার লিখলে - বাবা ক্ষমা করো, এই বিকর্ম হয়ে গেছে । বিকর্ম যখন করেছ, তখন তো শতগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হতেই হবে । আবার না বললে তার জন্যও দণ্ড পেতে হবে । এই সময়ই বোঝা যায় যে অজামিল কে হয়ে যায় ! যারা ঈশ্বরের কোলে এসে আবার বিকারে যায় , তখন প্রমাণিত হয়ে যায় যে কত বড় অনাবিল, পাপকর্ম - যারা বিকার ছাড়া থাকতে পারে না । বায়োস্কোপ, সিনেমা সবাইকে নোংরা বানানোর নিমিত্ত হয় । যে কোনো প্রকারের বিকার থেকে তোমাদের দূরে থাকা উচিত । ব্রাহ্মণ হল নির্বিকারী, তাই ব্রাহ্মণের সঙ্গই দরকার । শূদ্রের সঙ্গ দুঃখ ছাড়া আর কিছু দিতে পারে না । শরীর নির্বাহের জন্য সবকিছু করতে হবে । কিন্তু কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কোনও বিকর্ম করবে না । হ্যাঁ, বাচ্চাদের শোধরানোর জন্য বোঝাতে হবে আর কোনো না কোনো যুক্তি দিয়ে প্রয়োজনে অল্প স্বল্প শাস্তিও দিতে হবে । রচনা যখন রচিত করা হয়েছে তখন দায়িত্বে তো রয়েছে । তাদেরও সত্যিকারের উপার্জন করাতে হবে । ছোট ছোট বাচ্চাদেরও অল্প বিস্তর শেখানো ভালো । শিববাবাকে স্মরণ করলে, সাহায্য প্রাপ্ত হবেই । "সচ্চে দিল পর সাহেব রাজী" অর্থাৎ সত্য ও স্বচ্ছ হৃদয়াসনে সাহেব বিরাজ করেন । সাফ হৃদয়াধারী বাচ্চাদেরই বাবার আশ্রয় প্রাপ্ত হয় । এখন এই সমগ্র দুনিয়ায় কোথাও কেউ কারো সাহারা নয়। সাহারা দেবার নিমিত্ত সে - ই হতে পারে যে সুখে নিয়ে যেতে পারে। এক পরমাত্মাকেই স্মরণ করা হয় । তিনিই এসে সবাইকে শান্তি প্রদান করেন । সত্যযুগে সবাই সুখী হয় । বাকী সব আত্মারা শান্তিধাম নিবাসী হয় । ভারত স্বর্গ ছিল, সমগ্র বিশ্বের মালিক ছিল । অশান্তি, মারামারি কিছুই ছিল না । সেই নতুন দুনিয়া নিশ্চয়ই বাবা রচনা করেছেন । বাবার কাছ থেকেই অধিকার লাভ হয়েছে হবে! কিন্তু কিভাবে? সেটাই তো কেউ বুঝতে চায় না । ঐ দুনিয়াকে তো রাম রাজ্য বলা হতো । এখন আর নেই । ছিল তো সত্যি, তাইনা! সেই ভারত যখন পূজ্য ছিল, সেই পূজারী হয়েছে আর সেই আবার পূজ্য হবে । এখন তোমরা পুরুষার্থ করছো । শিব ভগবানুবাচ, শ্রীকৃষ্ণের আত্মা অন্তিম জন্মে শুনছে , আবার সেই আত্মা কৃষ্ণ হবে । প্রাতেঃ উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে । সেই সময় খুব ভালো হয় । ভায়ব্রেশনও অনেক শুদ্ধ থাকে । যেমন আত্মা রাতে ক্লান্ত হয় , তখন বলে আমি (আত্মা ) আলাদা (ডিটৈচ) হয়ে যাই । তোমাদেরও এখানে থেকে বুদ্ধিযোগ সেখানে লেগে থাকুক । অমৃতবেলায় উঠে স্মরণ করলে সারাদিন স্মৃতিতে আসতে থাকবে । এটাই হলো কামাই । যত স্মরণ করবে , তত বিকর্মাজীত পরিণত হবে , ধারণা হবে । যারা পবিত্র হয় , তারা স্মরণে থেকে সার্ভিসও করতে পারে । ডাইরেক্শান মেনে চলে তাই বাবাও খুশী থাকেন । প্রথমে সার্ভিস করতে হবে, সবাইকে পথ দেখাতে হবে । যোগের রাস্তা বলার জন্য জ্ঞানও দিতে হবে, তাইনা! যোগে থাকলে বিকর্মের বিনাশ হবে । সাথে সাথে চক্রকেও ঘোরাতে হবে । রূপ -বসন্ত (জ্ঞান+যোগ ) হতে হবে । তারপর সেরকম পয়েন্টসও আসতে থাকবে । আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি (সিকীলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্নেহ পূর্ণ স্মরণ আর সুপ্রভাত । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।
*ধারণার জন্য মুখ্য
সার* -:
১) এই ক্ষয়িত দুনিয়া আর ক্ষয়িত শরীর থেকে মমত্ব
মিটিয়ে এক বাবাকে আর ঘরকে (পরমধামকে) স্মরণ করতে হবে । শূদ্রের সঙ্গ থেকে নিজেদের
সামলে রাখতে হবে ।
২) বিকর্মাজীত হওয়ার জন্য অমৃতবেলায় উঠে স্মরণে বসতে
হবে । এই শরীর থেকে ডিট্যাচ (অশরীরী ) হওয়ার অভ্যাস করতে হবে ।
বরদান:-
প্রতিটি সেকেন্ডে, প্রতিটি খাজানাকে
সফল করে সফলতার খুশী অনুভব করতে সফলতার প্রতিমূর্তি ভব!
সফলতা মুরত হওয়ার বিশেষ সাধন হলো - প্রতিটি সেকেন্ডকে, প্রতিটি শ্বাসকে, প্রতিটি খাজানাকে
সফল করতে হবে । যদি সঙ্কল্পে, বোলে, কর্মে, সম্বন্ধে
সম্পর্কে সব প্রকারের সফলতা অনুভব করতে চাও, তাহলে সফল করে
চলতে থাকো, ব্যর্থ ভাব যেন না আসে ! সেটা নিজের প্রতি সফল করো
অথবা অন্য আত্মাদের প্রতি, অটোমেটিক্যালি সফলতার খুশীর অনুভব করতে থাকবে , কারণ সফল করতে হবে অর্থাৎ বর্তমানে সফলতা প্রাপ্ত করা আর
ভবিষ্যতের জন্য জমা করা ।
স্লোগান:-
যখন সঙ্কল্পেও কোনো আকর্ষণ আকৃষ্ট না করে তখন বলা হয়
- সম্পূর্ণতার সমীপতা অর্থাৎ সম্পূর্ণতার কাছাকাছি* ।