*"মিষ্টি বাচ্চারা — তোমাদের বুদ্ধিতে
সারাদিন ধরে সার্ভিসের( সেবা কাজ) চিন্তা ভাবনা চলা উচিত, তোমাদের সকলের
কল্যাণ করতে হবে,
কেননা তোমরা হলে অন্ধের লাঠি ।"*
প্রশ্ন:-
উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য কি কি মুখ্য ধারণা থাকা
দরকার ?*
উত্তর:-
উচ্চ পদ তখনই প্রাপ্ত হবে, যখন নিজের
কর্মেন্দ্রিয়ের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে । যদি কর্মেন্দ্রিয় বশে না থাকে, চাল চলন ঠিক না
হয়, অনেক বেশী কামনা
বাসনা, লোভ থাকে তাহলে উচ্চ পদ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে ।
উচ্চ পদ পেতে হলে মাতা পিতাকে অনুসরণ করো ।*
গীত:-
দৃষ্টিহীনকে পথ দেখাও প্রভু...
*ওম শান্তি ।*
প্রদর্শনীর জন্য এই গানটা খুব ভালো । এমনও না যে
প্রদর্শনীতে রেকর্ড বাজানো যাবে না । একে আধার করেও তোমরা বোঝাতে পারো, কেননা সবাই
আহ্বান করছে । কিন্তু এটা কেউ জানে না যে কোথায় যেতে হবে, আর কে নিয়ে যাবেে
। যেমন নাকি ড্রামাতে আছে বা ভাগ্যে রয়েছে বলে ভক্তরা ভক্তি করে থাকে । যখন ভক্তি
সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখনই বাবা আসবেন । কত দ্বারে দ্বারে বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকে
। মেলা, আখড়া বসে । দিন প্রতিদিন বৃদ্ধি হতেই থাকে । শ্রদ্ধাশীল
মানুষের তীর্থে আসা যাওয়া লেগেই থাকে । অনেক অনেক সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও
গভর্নমেন্ট স্ট্যাম্প ইত্যাদি বানাতে থাকে । সাধুদের স্ট্যাম্পও বানাতে থাকে ।
জন্ম দিন পালন করা হয় । এইসব হল রাবণ রাজ্যের অথবা মায়ার জাঁকজমক পূর্ণ চমক ।
ওদেরও মেলা, আখড়া ইত্যাদি দরকার হয় । অর্ধ কল্প ধরে রাবণ রাজ্যে
বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরেছ । এখন বাবা এসে রাবণ রাজ্য থেকে মুক্ত করে রাম রাজ্যে নিয়ে
যাবেন । এটা তো দুনিয়া জানে না যে স্বয়ংই পূজ্য আবার স্বয়ংই পূজারী । এই মহিমা কার
? প্রথমে ১৬ কলা
সম্পূর্ণ পূজ্য থাকে । তারপর আবার দুই কলা কম হয়ে যায় । তাই তাকে সেমী বা আধা বলা
হয় । সম্পূর্ণ পূজ্য থাকলে তার থেকে দুই কলা কম হলে আধা বা সেমী পূজ্য বলা হবে ।
তোমরা তো জানো যে পূজারী থেকে আবার পূজ্য হয়ে যাবে । তারপর আবার সেমী বা আধা পূজ্য
হয়ে যাবে । এবার এই কলিযুগের অন্তিমে আমাদের পূজারীর পার্ট সমাপ্ত হয়ে যাবে ।
পূজ্য বানাবার জন্য বাবাকে আসতে হয়। এখন বাবা বিশ্বের মালিক বানাচ্ছেন । বিশ্ব তো
এটাও আবার ওটাও বিশ্ব । ওখানে মানুষ সংখ্যায় কম থাকে । একটাই ধর্ম থাকে । অনেক
ধর্ম হলে পরে আবার দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়।
এবার বাবা এসেছেন যোগ্য বানাতে । যত বাবার স্মরণ করবে ততই নিজের কল্যাণ করবে । এখন দেখতে হবে যে কে কতটা নিজের কল্যাণ করতে পারবে ! যেমন আর্টিস্টরা কল্পনা করে নেয় যে এমন এমন চিত্র বানানো হবে যাতে মানুষ ভালো ভাবে বুঝতে পারে । ভাবে যে আমরা বেহদের বাবার সার্ভিস করছি । ভারতকে স্বর্গ বানাতে হবে । প্রদর্শনীতে দেখো কত কত লোক আসে । তাহলে প্রদর্শনীতে এমন চিত্র দেখলে বুঝতে পারবে যে এই চিত্র একদম সঠিক পথ দর্শাতে পারবে । মেলা, আখড়া ইত্যাদি সব এর তুলনায় কিছুই না । যে আর্টিস্ট এই জ্ঞান বুঝতে পারে, তার বুদ্ধিতে থাকে যে — এমন এমন চিত্র বানালে সবার অনেক কল্যাণ হয়ে যাবে । দিন রাত বুদ্ধিতে এই সব বিষয়ে মনন করা উচিত । এই সব বিষয়ে অনেক শখ থাকা দরকার । মৃত্যু তো হঠাৎই আসে । যদি জুতো ইত্যাদি নিরর্থক বিষয়ে চিন্তারত থাকে, মৃত্যু এসে হাজির হলে জুতো ইত্যাদির মতন নিরর্থক জন্ম হবে। এখানে তো বাবা বলেন দেহ সহিত সব কিছু ভুলতে হবে । এবার তোমরা ভবছো যে বাবা কে ? কারোর থেকে জিজ্ঞেস করো যে আত্মাদের পিতাকে জানো ? বলে যে না জানি না । কত স্মরণ করা হয়, কত চাওয়া হয় । দেবীদের কাছে গিয়ে চাওয়া হয় । দেবী পূজা করা হলে তারপর কিছু প্রাপ্তি হলে পরে তারা নিজেদের তাঁর কাছে সব সমর্পণ করে দেয় । তারপর পূজারী ধরে বসে, উনিও আশীর্বাদ ইত্যাদি করেন । কত অন্ধশ্রদ্ধা । তাহলে এমন গানের ওপর প্রদর্শনী করে বোঝানো যেতে পারে । এই প্রদর্শনী তো গ্রামে গ্রামে গিয়ে হতে পারে । বাবা তো গরীবের রক্ষাকর্তা । তাই তারা বাবার দ্বারা উঁচুতে উঠে যায় । সাহুকার বা ধনবান তো কোটিতে কেউ কেউ বের হয় । প্রজা তো ঢের ঢের আছে । এখানে তো মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে । বাবার থেকে বর্সা (উত্তরাধিকার) প্রাপ্ত হয় । প্রথমে তো বাবাকে জানতে হবে কেননা উনি আমাদের পড়াশোনা করান । এই সময়ে মানুষের কত পাথরের মতন বুদ্ধি হয়ে গেছে । তোমরা দেখছো যে কত কত সব সেন্টারে আসে , সবার দৃঢ় নিশ্চয়ই আছে যে বাবাই হলেন শিক্ষক, সদগুরু, তাসত্বেও বুঝতে পারে না । একটা অন্য গানও আছে যে, এই পাপের দুনিয়া থেকে আমাদের দূরে নিয়ে চলো ..... সেটা অনেক ভালো হবে, এই পাপের দুনিয়া তো আছেই । ভগবানুবাচ - এটা হল আসুরী সম্প্রদায়, আমি এদেরকে দৈবী সম্প্রদায়ের বানিয়ে দিই। তারপর দেখি মানুষের কমিটি ইত্যাদি এই সব কার্য কেমন করে পারে । এখানে তো সব কথাই বুদ্ধির ব্যাপার । ভগবান বলেন তোমরা পতিত হয়ে আছো, তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য পবিত্র দেবতা বানাই । এই সময়ে সবাই পতিত হয়ে আছি । পতিত শব্দটাই বিকারের জন্য । সত্যযুগে তো বিদ্বেষহীন দুনিয়া হয় । এখানে হলো বিদ্বেষপূর্ণ দুনিয়া। কৃষ্ণকে তো ১৬ হাজার ১০৮ জন রানী দিয়ে দেওয়া হয়েছে । এটা তো ড্রামা গথিত আছে । যা কিছু শাস্ত্রে আছে, তাকে গ্লানিময় করে দিয়েছে । বাবা যে স্বর্গ তৈরি করেছেন তার সম্পর্কে অনেকে অনেক কিছু বলতে থাকে । এখন তো তোমরা জানো যে বাবা আমাদের কত উচ্চ বানিয়েছেন । কত ভালো শিক্ষা প্রদান করেন । সত্যিকারের সৎসঙ্গ এটাকেই বলে । বাদবাকি সব মিথ্যা সঙ্গ । এমন সবাইকে পরমপিতা পরমাত্মা এসে বিশ্বের মালিক বানিয়ে দেন । বাবা বোঝাচ্ছেন যে বাচ্চারা , তোমাদের এবার অন্ধের লাঠি হতে হবে । নিজেই যদি অন্ধ সমান হয়, সে কি করে অপরের জন্য সাহায্যের লাঠি হবে ! যদিও জ্ঞানের বিনাশ হয় না । একবার যদি "মা - বাবা" বলা হয়, তাহলে কিছু না কিছু প্রাপ্তি হবেই । তবে নম্বরের ভিত্তিতেই পদ প্রাপ্তি । চাল চলন দেখেও কিছুটা বোঝা যায় । তাসত্বেও পুরুষার্থ করানো হয় । এমন নয় যে - যা পাওয়া গেল, পাওয়া গেল - ঠিক আছে । পুরুষার্থ (বিনা কষ্টে) ছাড়া জলটুকুও পাওয়া যাবে না । একে বলা হয় কর্মক্ষেত্র। এখানে কর্ম ব্যতীত মানুষ থাকতে পারবে না । "কর্ম সন্ন্যাস" কথাটাই ভুল । অনেক রকমের হঠযোগ করে । জলের ওপর হাঁটা , আগুনের ওপর হাঁটা - এ সব শিখতে থাকে । কিন্তু কি লাভ হয় ? বিনা কারণেই আয়ু ক্ষয় করে । ভক্তি করা হয় রাবণের কারণে দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য । মুক্ত হয়ে সবাইকে ফিরে যেতে হবে। সেইজন্যই সবাই স্মরণ করে যাতে মুক্তিধামে অথবা সুখধামে যেতে পারি । দুটোই গত হয়ে গেছে । ভারত সুখধাম ছিল। এখন নরক হয়ে গেছে। তাই নরকবাসী তো বলা হবে, তাইনা । তোমরা তো নিজেরাই বলো যে ওমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে । আচ্ছা, তোমরা তো নরকে আছ, তাইনা । স্বর্গের বিপরীত হল নরক । আর বাকি হল শান্তিধাম । বড় বড় লোকেরা এটাও বুঝতে পারে না । নিজেরাই প্রমাণ করে দেয় যে আমরা নরকে আছি । তোমাদের এই সমস্ত কিছু খুব যুক্তি পূর্ণ ভাবে প্রমাণ দিয়ে বোঝাতে হবে । এসব ক্ষেত্রে প্রদর্শনী খুব কার্যকরী হবে । এই সময়ে মানুষ কত পাপ কাজ করছে। স্বর্গে এ সব কিছু হয় না । ওখানে তো হল প্রালব্ধ । তোমরা এখন আবার স্বর্গে যাচ্ছ। তোমরা বলবে আমরা তো অনেক বার বিশ্বের মালিক হয়েছিলাম, আবার এখন বিশ্বের মালিক হচ্ছি । দুনিয়ায় কেউ জানে না । তোমাদের মধ্যেও কেউ কেউ বুঝতে পারে । এই খেলার থেকে কেউ বেরিয়ে যেতে না । মোক্ষ মানুষ তখনই চায়, যখন দুঃখের মধ্যে থাকে । *বাবা তো বলেন - "খুব ভালো ভাবে পুরুষার্থ করো ।* মা বাবাকে অনুসরণ করে খুব ভালো পদ প্রাপ্ত করে নাও, নিজের চাল চলন শুধরে নাও" । বাবা তো পথ দেখাচ্ছেন, তাহলে সেই পথ কেন অনুসরণ করছো না । *অধিক কামনা বাসনা পোষণ করা উচিত নয় ।* যজ্ঞের থেকে যা পাওয়া যায় তাই খাওয়া উচিত । লোভ যদি থাকে, কর্মেন্দ্রিয় যদি বশে না থাকে, উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে না । তো এমন এমন গান প্রদর্শনীতে বাজাবে তার আধারে তোমরা যাতে বোঝাতে পারো ।
*তোমরা হলে শিববাবার পরিবার, শিববাবার ওপরে কেউ নেই ।* বাকি অন্য সকলের ওপরে তো কেউ না কেউ থাকেই । ৮৪ জন্মের মধ্যে তোমরা দাদা, এবং বাবাকেও পাও । শিববাবা হলেন রচয়িতা, এখন নতুন রচনার রচনা করছেন, অর্থাৎ পুরানোকে নতুন বানাচ্ছেন । তোমরা তো জানো যে আমরা শ্যামলা(অপবিত্র) থেকে গোরা(পবিত্র) হচ্ছি। স্বর্গে কৃষ্ণ হলেন নম্বর ওয়ান । তারপর একেবারে শেষে ওনার জন্ম হয় । তারপর আবার তিনি প্রথম নম্বরে থাকেন । পুরোপুরি ৮৪ জন্ম শ্রীকৃষ্ণ গ্রহণ করেছেন । সূর্যবংশী দৈবী সম্প্রদায়ের সব পুরো পুরো ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছে । বাবা বলেন - যে শ্রীকৃষ্ণ নম্বর ওয়ান ছিলেন, ওনারই অন্তিম জন্মে প্রবেশ করে আবার ওনাকে শ্রীকৃষ্ণ বানিয়ে দিই । আচ্ছা ।
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি (সিকীলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার ভালোবাসা ও স্মরণ আর সুপ্রভাত । রুহানি বাবার রুহানি বাচ্চাদের নমস্কার ।
এবার বাবা এসেছেন যোগ্য বানাতে । যত বাবার স্মরণ করবে ততই নিজের কল্যাণ করবে । এখন দেখতে হবে যে কে কতটা নিজের কল্যাণ করতে পারবে ! যেমন আর্টিস্টরা কল্পনা করে নেয় যে এমন এমন চিত্র বানানো হবে যাতে মানুষ ভালো ভাবে বুঝতে পারে । ভাবে যে আমরা বেহদের বাবার সার্ভিস করছি । ভারতকে স্বর্গ বানাতে হবে । প্রদর্শনীতে দেখো কত কত লোক আসে । তাহলে প্রদর্শনীতে এমন চিত্র দেখলে বুঝতে পারবে যে এই চিত্র একদম সঠিক পথ দর্শাতে পারবে । মেলা, আখড়া ইত্যাদি সব এর তুলনায় কিছুই না । যে আর্টিস্ট এই জ্ঞান বুঝতে পারে, তার বুদ্ধিতে থাকে যে — এমন এমন চিত্র বানালে সবার অনেক কল্যাণ হয়ে যাবে । দিন রাত বুদ্ধিতে এই সব বিষয়ে মনন করা উচিত । এই সব বিষয়ে অনেক শখ থাকা দরকার । মৃত্যু তো হঠাৎই আসে । যদি জুতো ইত্যাদি নিরর্থক বিষয়ে চিন্তারত থাকে, মৃত্যু এসে হাজির হলে জুতো ইত্যাদির মতন নিরর্থক জন্ম হবে। এখানে তো বাবা বলেন দেহ সহিত সব কিছু ভুলতে হবে । এবার তোমরা ভবছো যে বাবা কে ? কারোর থেকে জিজ্ঞেস করো যে আত্মাদের পিতাকে জানো ? বলে যে না জানি না । কত স্মরণ করা হয়, কত চাওয়া হয় । দেবীদের কাছে গিয়ে চাওয়া হয় । দেবী পূজা করা হলে তারপর কিছু প্রাপ্তি হলে পরে তারা নিজেদের তাঁর কাছে সব সমর্পণ করে দেয় । তারপর পূজারী ধরে বসে, উনিও আশীর্বাদ ইত্যাদি করেন । কত অন্ধশ্রদ্ধা । তাহলে এমন গানের ওপর প্রদর্শনী করে বোঝানো যেতে পারে । এই প্রদর্শনী তো গ্রামে গ্রামে গিয়ে হতে পারে । বাবা তো গরীবের রক্ষাকর্তা । তাই তারা বাবার দ্বারা উঁচুতে উঠে যায় । সাহুকার বা ধনবান তো কোটিতে কেউ কেউ বের হয় । প্রজা তো ঢের ঢের আছে । এখানে তো মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে । বাবার থেকে বর্সা (উত্তরাধিকার) প্রাপ্ত হয় । প্রথমে তো বাবাকে জানতে হবে কেননা উনি আমাদের পড়াশোনা করান । এই সময়ে মানুষের কত পাথরের মতন বুদ্ধি হয়ে গেছে । তোমরা দেখছো যে কত কত সব সেন্টারে আসে , সবার দৃঢ় নিশ্চয়ই আছে যে বাবাই হলেন শিক্ষক, সদগুরু, তাসত্বেও বুঝতে পারে না । একটা অন্য গানও আছে যে, এই পাপের দুনিয়া থেকে আমাদের দূরে নিয়ে চলো ..... সেটা অনেক ভালো হবে, এই পাপের দুনিয়া তো আছেই । ভগবানুবাচ - এটা হল আসুরী সম্প্রদায়, আমি এদেরকে দৈবী সম্প্রদায়ের বানিয়ে দিই। তারপর দেখি মানুষের কমিটি ইত্যাদি এই সব কার্য কেমন করে পারে । এখানে তো সব কথাই বুদ্ধির ব্যাপার । ভগবান বলেন তোমরা পতিত হয়ে আছো, তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য পবিত্র দেবতা বানাই । এই সময়ে সবাই পতিত হয়ে আছি । পতিত শব্দটাই বিকারের জন্য । সত্যযুগে তো বিদ্বেষহীন দুনিয়া হয় । এখানে হলো বিদ্বেষপূর্ণ দুনিয়া। কৃষ্ণকে তো ১৬ হাজার ১০৮ জন রানী দিয়ে দেওয়া হয়েছে । এটা তো ড্রামা গথিত আছে । যা কিছু শাস্ত্রে আছে, তাকে গ্লানিময় করে দিয়েছে । বাবা যে স্বর্গ তৈরি করেছেন তার সম্পর্কে অনেকে অনেক কিছু বলতে থাকে । এখন তো তোমরা জানো যে বাবা আমাদের কত উচ্চ বানিয়েছেন । কত ভালো শিক্ষা প্রদান করেন । সত্যিকারের সৎসঙ্গ এটাকেই বলে । বাদবাকি সব মিথ্যা সঙ্গ । এমন সবাইকে পরমপিতা পরমাত্মা এসে বিশ্বের মালিক বানিয়ে দেন । বাবা বোঝাচ্ছেন যে বাচ্চারা , তোমাদের এবার অন্ধের লাঠি হতে হবে । নিজেই যদি অন্ধ সমান হয়, সে কি করে অপরের জন্য সাহায্যের লাঠি হবে ! যদিও জ্ঞানের বিনাশ হয় না । একবার যদি "মা - বাবা" বলা হয়, তাহলে কিছু না কিছু প্রাপ্তি হবেই । তবে নম্বরের ভিত্তিতেই পদ প্রাপ্তি । চাল চলন দেখেও কিছুটা বোঝা যায় । তাসত্বেও পুরুষার্থ করানো হয় । এমন নয় যে - যা পাওয়া গেল, পাওয়া গেল - ঠিক আছে । পুরুষার্থ (বিনা কষ্টে) ছাড়া জলটুকুও পাওয়া যাবে না । একে বলা হয় কর্মক্ষেত্র। এখানে কর্ম ব্যতীত মানুষ থাকতে পারবে না । "কর্ম সন্ন্যাস" কথাটাই ভুল । অনেক রকমের হঠযোগ করে । জলের ওপর হাঁটা , আগুনের ওপর হাঁটা - এ সব শিখতে থাকে । কিন্তু কি লাভ হয় ? বিনা কারণেই আয়ু ক্ষয় করে । ভক্তি করা হয় রাবণের কারণে দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য । মুক্ত হয়ে সবাইকে ফিরে যেতে হবে। সেইজন্যই সবাই স্মরণ করে যাতে মুক্তিধামে অথবা সুখধামে যেতে পারি । দুটোই গত হয়ে গেছে । ভারত সুখধাম ছিল। এখন নরক হয়ে গেছে। তাই নরকবাসী তো বলা হবে, তাইনা । তোমরা তো নিজেরাই বলো যে ওমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে । আচ্ছা, তোমরা তো নরকে আছ, তাইনা । স্বর্গের বিপরীত হল নরক । আর বাকি হল শান্তিধাম । বড় বড় লোকেরা এটাও বুঝতে পারে না । নিজেরাই প্রমাণ করে দেয় যে আমরা নরকে আছি । তোমাদের এই সমস্ত কিছু খুব যুক্তি পূর্ণ ভাবে প্রমাণ দিয়ে বোঝাতে হবে । এসব ক্ষেত্রে প্রদর্শনী খুব কার্যকরী হবে । এই সময়ে মানুষ কত পাপ কাজ করছে। স্বর্গে এ সব কিছু হয় না । ওখানে তো হল প্রালব্ধ । তোমরা এখন আবার স্বর্গে যাচ্ছ। তোমরা বলবে আমরা তো অনেক বার বিশ্বের মালিক হয়েছিলাম, আবার এখন বিশ্বের মালিক হচ্ছি । দুনিয়ায় কেউ জানে না । তোমাদের মধ্যেও কেউ কেউ বুঝতে পারে । এই খেলার থেকে কেউ বেরিয়ে যেতে না । মোক্ষ মানুষ তখনই চায়, যখন দুঃখের মধ্যে থাকে । *বাবা তো বলেন - "খুব ভালো ভাবে পুরুষার্থ করো ।* মা বাবাকে অনুসরণ করে খুব ভালো পদ প্রাপ্ত করে নাও, নিজের চাল চলন শুধরে নাও" । বাবা তো পথ দেখাচ্ছেন, তাহলে সেই পথ কেন অনুসরণ করছো না । *অধিক কামনা বাসনা পোষণ করা উচিত নয় ।* যজ্ঞের থেকে যা পাওয়া যায় তাই খাওয়া উচিত । লোভ যদি থাকে, কর্মেন্দ্রিয় যদি বশে না থাকে, উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে না । তো এমন এমন গান প্রদর্শনীতে বাজাবে তার আধারে তোমরা যাতে বোঝাতে পারো ।
*তোমরা হলে শিববাবার পরিবার, শিববাবার ওপরে কেউ নেই ।* বাকি অন্য সকলের ওপরে তো কেউ না কেউ থাকেই । ৮৪ জন্মের মধ্যে তোমরা দাদা, এবং বাবাকেও পাও । শিববাবা হলেন রচয়িতা, এখন নতুন রচনার রচনা করছেন, অর্থাৎ পুরানোকে নতুন বানাচ্ছেন । তোমরা তো জানো যে আমরা শ্যামলা(অপবিত্র) থেকে গোরা(পবিত্র) হচ্ছি। স্বর্গে কৃষ্ণ হলেন নম্বর ওয়ান । তারপর একেবারে শেষে ওনার জন্ম হয় । তারপর আবার তিনি প্রথম নম্বরে থাকেন । পুরোপুরি ৮৪ জন্ম শ্রীকৃষ্ণ গ্রহণ করেছেন । সূর্যবংশী দৈবী সম্প্রদায়ের সব পুরো পুরো ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছে । বাবা বলেন - যে শ্রীকৃষ্ণ নম্বর ওয়ান ছিলেন, ওনারই অন্তিম জন্মে প্রবেশ করে আবার ওনাকে শ্রীকৃষ্ণ বানিয়ে দিই । আচ্ছা ।
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি (সিকীলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার ভালোবাসা ও স্মরণ আর সুপ্রভাত । রুহানি বাবার রুহানি বাচ্চাদের নমস্কার ।
*ধারনার জন্য মুখ্য
সার :-*
*১) কোনো বিনাশী
বাসনা রাখবে না । নিজের আর সকলের কল্যাণ করতে হবে ।*
*২) দেহ সহ সব কিছু
ভুলে ঘরে ফেরত যেতে হবে - এই জন্য চেক করতে হবে যে বুদ্ধি কোথাও আটকে তো নেই ।*
বরদান:-
যে কোনো বিষয়ে ফুলস্টপের বিন্দু লাগিয়ে সমাপ্ত করতে
সক্ষম সহজ যোগী ভবঃ ।*
*সমস্ত পয়েন্টের
সার হল — পয়েন্ট (বিন্দু) হয়ে যাওয়া । পয়েন্ট রূপে স্থির থাকো, তাহলে প্রশ্ন
চিহ্নের যে সারি (queue) তা সমাপ্ত হয়ে যাবে । যখনই কোনো কথায় প্রশ্ন উদয় হবে
সেখানেই ফুলস্টপ লাগিয়ে দাও । ফুলস্টপ লাগানোর সহজ স্লোগান হল — যা হয়ে গেছে যা
কিছু হচ্ছে, যা কিছু হবে সেটা ভালোই হবে- যেহেতু সঙ্গমযুগ হলই ভালো আর
ভালো । ভলো ভালো বললে ভালো হয়ে যায়। আর এর জন্যই সহজযোগী জীবনের অনুভব করতে থাকবে
।*
স্লোগান:-
স্নেহই হল সহজে স্মরণের সাধন, স্নেহে নিমজ্জিত
থাকা মানে সহজ যোগী হওয়া ।*